স্ট্রোক্কুর নিয়ে অনেক কল্প কথাও প্রচলিত আছে |
চলুন আমরা ঘুড়ে আসি, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চার্য সমুহের সাথে। যেখানে আমরা জানতে পার আরও একটা অধভুত আশ্চার্য বস্তুর সাথে, স্ট্রোক্কুর নামে পরিচিত।
পৃথিবীতে আশ্চর্যজনক অনেক প্রাকৃতিক নিদর্শন সম্পর্কেই আমাদের কমবেশী পরিচিতি আছে। কিন্তু আরো কিছু বিষ্ময় আমাদের অনেকেরই দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। সেই বিষ্ময়কর প্রাকৃতিক নিদর্শনগুলোর একটি হচ্ছে স্ট্রোক্কুর! নামটা ভড়কে যাওয়ার মতোই বটে। প্রতি ৪ থেকে ৮ মিনিট পর পর ১৫ থেকে ২০ মিটার উচ্চতায় ফুটন্ত পানি, অনেক সময় লাভা উদগীরন হয় । এই উষ্ণ প্রস্রবণটি আগ্নেয়গিরিময় দুর্গম দেশ আইসল্যান্ডে অবস্থিত।
মূলতঃ পৃথিবী বিখ্যাত উষ্ণ প্রস্রবণ গেইসারের ছোট একটি অংশ এই স্ট্রোক্কুর। যা ভীতিকর বিষ্ময় উপহার দিয়ে নিয়ম মাফিক অবিরাম শূন্যে ফুটন্ত পানি উদগীরন করে চলেছে। স্ট্রোক্কুরের উত্থান রীতিমতো একটা বিষ্ময়কর ব্যাপার। অদ্ভ’ত একটা দৃশ্য, মনে ভয় এবং বিষ্ময় জাগায়। নিরীহদর্শন একটা ঝর্না লম্বা প্রাচীরের মতো হঠাৎ মাথা তোলা, বিশাল উচ্চতার শেষ পর্যায়ে ধনুকের মতো বেঁকে যাচ্ছে প্রান্তটা। মাঝ পথ থেকেই শুরু হয় ফুটন্ত পানি ছিটানোর পালা।
পৃথিবীর সপ্তম আশ্চার্য বিষয় [ Source Wikipedia} |
বাতাস ভারী হয়ে উঠে সালফারের কটু গন্ধে। উপভোগ করাটা দুর থেকে হওয়াই বা নীয়। কেননা বিপদসীমার মধ্যে কোন ব্যক্তি দুর্ঘটনার শিকার হলে তা হয় বিভীৎস এক অভিজ্ঞতা। পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরো শরীরে ফোস্কা পড়ে যায়। মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়ার সময় উঠে আসে গায়ের ছাল। সাহায্য করতে কাছে যাওয়ার সাহস কারো হয় না। প্রতিবছর রুদ্র প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভের আশায় আইসল্যান্ডে সমবেত বিপুল সংখ্যক পর্যটকবৃন্দ এই জান্তব সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ হাতছাড়া করেন না।
ইতিহাস: স্ট্রোক্কুর নামটির প্রথম উৎপত্তি ১৭৮৯ সালে। আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত অন্যতম পর্যটন আকর্ষন গেইসার(বাংলায় উষ্ণ প্রস্রবণ) এক ভয়ানক ভ’মিকম্পের কবলে পড়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তখন থেকেই স্ট্রোক্কুরের উদ্ভব। তখন থেকেই শুরু হয় এই অবিরাম ধারায় চলতে থাকা স্ট্রোক্কুরের গরম পানি ও সালফার ছিটানোর মহোৎসব, যা ৬০ মিটার উচ্চতার কম হতো না। উনবিংশ শতাব্দীতে এসে স্ট্রোক্কুরের গতিধারায় তারতম্য আসে। তবে স্ট্রোক্কুর ১৯৬৩ সালে সংঘটিত আরেকটি ভ’মিকম্পের পর অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে গেইসার কমিটির সুপারিশে স্থানীয় জনসাধারন ভেঙে পড়া পাহাড় অপসারনের কাজ শুরু করে। আর এই কাজের পরই স্ট্রোক্কুর তার নিয়মিত গতিধারা আবারো ফিরে পায়।
স্ট্রোক্কুর নিয়ে অনেক কল্প কথাও প্রচলিত আছে |
স্ট্রোক্কুর নিয়ে অনেক কল্প কথাও প্রচলিত আছে। স্থানীয় জনসাধারন তাদের এই প্রাকৃতিক বিষ্ময়টি অনেক সযতন্যে লালন এবং রক্ষনাবেক্ষণ করে থাকে। যা হতে পারে এলিয়েন দের পৃথিবীর উপরিভাগে আশার রাস্তা, তাই কি?
Comments
Post a Comment