রাজধানীর উত্তরায় রাজউকের জমি দখল করে বাজার গড়ে তুলেছেন শ্রমিক লীগের এক নেতা। ওই বাজার থেকে প্রতি মাসে চার লাখ টাকার বেশি চাঁদা তোলা হয়। অভিযোগ আছে, এই টাকা ভাগাভাগি করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। রাজউকের অসাধু কর্মীরাও ভাগ পান।
সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরে রাজউকের অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্ট প্রকল্পের পরিচালকের অস্থায়ী কার্যালয় ঘেঁষে অবৈধ বাজারটি গড়ে উঠেছে। রাজউক সূত্র জানায়, জায়গাটি উত্তরা তৃতীয় পর্বের আওতায় বাণিজ্যিক প্লট হিসেবে নির্ধারিত। বাজারটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে দোকান আছে প্রায় ৭০টি। বেশির ভাগই শাকসবজি ও মাছের দোকান এবং খাবার হোটেল, সেলুন ও দরজির দোকান, ডেকোরেটর ও চায়ের দোকান। একাধিক দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের ব্যবসার ধরন অনুযায়ী দৈনিক ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়।
দোকানদারেরা আরও বলেন, বাজার পরিচালনা করতে অনেক জায়গায় টাকা দিতে হয়—এ কথা বলে তাঁদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হয়। টাকা আদায় করেন রুস্তম ও আনোয়ার। মাঝেমধ্যে তাঁদের নিয়োজিত কর্মীরা চাঁদা আদায়ের কাজটি করেন। ৭০টি দোকানে দৈনিক গড়ে ২০০ টাকা হিসাবে প্রতিদিন ১৪ হাজার টাকা চাঁদা ওঠে। প্রতি মাসে চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
রাজউক বলছে, উত্তরা তৃতীয় পর্বে বাণিজ্যিক প্লটের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ বাজারটি এখন পর্যন্ত তিনবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রতিবার উচ্ছেদের পর নতুন করে দোকান বসেছে। উত্তরা তৃতীয় পর্ব প্রকল্পের পক্ষ থেকে সংস্থাটির এস্টেট ও ভূমি-১ শাখাকে বাণিজ্যিক ওই প্লট নিলামের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ চিঠি দেওয়া হয় ১ ফেব্রুয়ারি।
Comments
Post a Comment